স্ট্যাম্প-ব্যান্ডরোলের অবৈধ ব্যবহারে বছরে ক্ষতি ৮০০ কোটি টাকা-জাগোনিউজ - Bangladesh Network for Tobacco Tax Policy

স্ট্যাম্প-ব্যান্ডরোলের অবৈধ ব্যবহারে বছরে ক্ষতি ৮০০ কোটি টাকা-জাগোনিউজ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ০৬:৩০ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০২০

তামাক কর আদায়ে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোলের অবৈধ এবং দুর্বল ব্যবহারে প্রতিবছর প্রায় ৮০০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, যা তামাক খাত থেকে আয় করা রাজস্বের প্রায় ৪ শতাংশের সমান।

রোববার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল আয়োজিত ‘তামাক কর আদায়ে স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহারের বর্তমান পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা ও সময়োপযোগী প্রস্তাব’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এ কথা বলেন বক্তারা।

তারা বলছেন, তামাক কোম্পানিগুলো একই ব্যান্ডরোল ও স্ট্যাম্প দ্বিতীয়বার ব্যবহার করে কর ফাঁকি দিচ্ছে। তাই এ পদ্ধতিতে তামাক কোম্পানি যাতে আর কর ফাঁকি দিতে না পারে, সেজন্য স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ট্রাকিং ও ট্রেসিংয়ের জন্য ডিজিটাল কর আদায় পদ্ধতি গড়ে তুলতে হবে।

ওয়েবিনারে বিএনটিটিপির টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হকের সভাপতিত্বে মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন বিএনটিটিপির গবেষণা সহকারী আদিবা কারিন। উপস্থাপিত বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক সাগুফতা সুলতানা, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেলের সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক মো. বজলুর রহমান এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামসের টোব্যাকো কন্ট্রোল প্রোগ্রামের টিম লিডার মোহাম্মদ শামিম।

স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোলের মাধ্যমে কেবল বিড়ি ও সিগারেট কোম্পানি কর ফাঁকি দেয় না। সবধরনের সাদাপাতা, জর্দা ও গুল কোম্পানিও একই উপায়ে কর ফাঁকি দেয়। সুতরাং তাদেরকেও একইভাবে করের আওতায় নিয়ে আসতে হবে বলে মত দেন বক্তারা।