What Is an Ad Valorem Tax?
An ad valorem tax is a tax based on the assessed value of an item, such as real estate or personal property. The most common ad valorem taxes are property taxes levied on real estate. However, ad valorem taxes may also extend to a number of tax applications, such as import duty taxes on goods from abroad.
To read about Ad valorem, VAT, stratified tax and specific tax system please see in the Bengali language.
অ্যাড ভ্যালোরেম কর কী?
কোনো পণ্যের ওপর সরকারের নির্ধারিত খুচরা বিক্রয় মূল্যের ওপর নির্দিষ্ট হারে কর আরোপের প্রক্রিয়াকেই অ্যাড ভ্যালোরেম কর বলে। এটা পণ্যের মূল্য অনুযায়ী শতকরা হারে ধার্য করা হয়ে থাকে।
তামাকজাত দ্রব্যের ওপর অ্যাড ভ্যালোরেম পদ্ধতিতে করারোপের সীমাবদ্ধতা
তামাকজাত পণ্যের (সিগারেট, বিড়ি, জর্দা ও গুল) ওপর করারোপে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত অ্যড ভ্যালোরেম পদ্ধতি চালু রয়েছে। অ্যড ভ্যালোরেম পদ্ধতিতে সম্পুরক শুল্ক আরোপের কারণে প্রতিবছর তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়ানো হলেও সরকারের রাজস্ব আয় কাংখিত পরিমাণ বাড়ছে না। বরং তামাক কোম্পানীর মুনাফা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।
উদাহারণ স্বরুপ চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরে বাজেটে প্রিমিয়াম ব্রান্ডের ১০ শলাকার ১ প্যাকেট সিগারেটের দাম ১০৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২৩ টাকা নির্ধারণ করে এর ওপর ৬৫% সম্পুরক শুল্ক, ১৫% ভ্যাট ও ১% স্বাস্থ্য উন্নয়ন সার চার্জ অপরিবর্তত রাখা হয়। এর ফলে তামাক কোম্পনী কীভাবে লাভবান হয়েছে তা নীচের হিসাব দেখলে বোঝা যাবে-
২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রিমিয়াম ব্রান্ডের ১০ শলাকা সিগারেটের দাম ছিলো ১০৫ টাকা। এ মূল্যের ওপর ৬৫% সম্পুরক শুল্ক, ১৫% ভ্যাট এবং ১% স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ আরোপ করা হয়। যা থেকে সরকার পেয়েছে ৮৫.০৫ টাকা এবং কোম্পানি পেয়েছে ১৯.৯৫ টাকা। ফলে কোনো ধরনের কষ্ট ছাড়াই কোম্পানির লাভ বেড়েছে ৩.৪২ টাকা। একইসঙ্গে ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রিমিয়াম ব্রান্ডের ১০ শলাকা সিগারেটের দাম ধরা হয়েছে ১২৩ টাকা। এ মূল্যের ওপর ৬৫% সম্পুরক শুল্ক, ১৫% ভ্যাট এবং ১% স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ আরোপের মাধ্যমে সরকার পেয়েছে ৯৯.৬৩ টাকা এবং কোম্পানি পেয়েছে ২৩.৩৭ টাকা। ফলে এখানেও কোনো ধরনের কষ্ট ছাড়াই প্রতি ১০ শলাকায় কোম্পানি লাভ করেছে ৩.৪২ টাকা।
অর্থাৎ কোন অধিক শ্রম বা অর্থ ব্যয় না করেই কোম্পানী প্রতি ১০ শলাকা সিগারেটে ৩ টাকা ৪২ পয়সা বেশি লাভ পেয়ে যাচ্ছে। যা হচ্ছে আমাদের ত্রুটিপূর্ণ করারোপ ব্যবস্থার কারণে।
বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় একটি বিদেশী তামাক কোম্পানির নিজস্ব তথ্যে দেখা যায় ২০১৮ সালে তাদের উৎপাদন ৩ শতাংশ কমে গেলেও তাদের নিট মুনাফা বেড়েছে ২৮ শতাংশ। যা অন্য পণ্য উৎপাদনকারী কোন কোম্পানির পক্ষে সম্ভবপর নয়।
এই অবস্থা থকে উত্তরণরে জন্য দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞগণ প্রতি বছররে মত এবারও ২০২০-২১ র্অথবছররে জন্য একটি তামাক কর প্রস্তাব প্রস্তুত করছে। সেখানে অ্যড ভ্যালোরেম পদ্ধতিতে সম্পুরক শুল্ক আরোপের পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট সম্পুরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
সুনির্দিষ্ট কর কী?
সুনির্দিষ্ট করারোপ পদ্ধতিতে দ্রব্যের মূল্যের ওপর শতকরা হারে কর নির্ধারণ না করে দ্রব্যের পরিমাণের ওপর সুনির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ কর হিসাবে নির্ধারণ করা হয় যা নির্ধারিত খুচরা মূল্য থেকে কর্তন করা হয়।
সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে কর আরোপের সুবিধা
- তামাকজাত দ্রব্যে সুনির্দিষ্ট কর আরোপের ফলে সরকারের রাজস্ব আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়বে। প্রথম বছরেই যার হার হবে বিড়ি ও সিগারেট থেকে প্রাপ্ত বর্তমান কর রাজস্বের চেয়ে অন্তত ১৪% বেশি।
- সুনির্দিষ্ট কর আরোপের ফলে অর্জিত অতিরিক্ত রাজস্ব আয় দিয়ে করোনাজনিত কারণে সংগঠিত অর্থনৈতিক ক্ষতি অনেকখানি পোষানো সম্ভব
- সুনির্দিষ্ট কর আরোপের ফলে তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়লেও তামাক কোস্পানীর মুনাফা বাড়বেনা
- এরফলে ২০ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী ধূমপান ত্যাগে উৎসাহিত হবে
- তামাকব্যবহারজনিত রোগে মৃত্যুর হার ও অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ কমে আসবে (২০১৮ সালে তামাক ব্যবহারজনিত রোগে মারা গেছে প্রায় ১,২৬,০০০ জন এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা)
- কিশোর ও তরুণরা ধূমপান শুরু করতে নিরুৎসাহিত এবং অনেক ধূমপায়ী ধূমপান ছেড়ে দিতে উৎসাহিত হবে
- এ ধরনের কর আরোপ পদ্ধতি হিসাবে সহজ হওয়ায় করে পরিমাণ হিসাব করাও সহজ। ফলে তামাক কোম্পানিগুলো কর ফাঁকি দিতে পারবে না এবং প্রতি বছর সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।
মূসক বা মূল্য সংযোজন কর কী?
মূসক বা মূল্য সংযোজন কর হলো স্বনির্ধারণী পরোক্ষ কর। সরবরাহকৃত পণ্য বা সেবার ওপর প্রদেয় করের বিপরীতে উপকরণ কর সমন্বয় করে পণ্য বা সেবার মূল্যস্তরের প্রকৃত সংযোজনের ওপর আরোপিত করই ঐ পণ্য বা সেবার মূল্য সংযোজন কর বা মূসক।
মূসক বা মূল্য সংযোজন কর কীভাবে আরোপ হয়?
করযোগ্য আমদানি এবং করযোগ্য সরবরাহের ওপর মূসক আরোপিত হয়। আইনের প্রথম তফসিলে বর্ণিত অব্যাহতিপ্রাপ্ত পণ্য ও সেবা ব্যতীত সকল পণ্য ও সেবার উপর ১৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপিত হবে। মূসকের আদর্শ হার ১৫%। ফলে আমদানি ও সরবরাহের ক্ষেত্রে মূসকের হার ১৫% এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে মূসকের হার ০% প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে সিগারেট ক্ষতিকর পণ্য হওয়া সত্ত্বেও পণ্যটি রপ্তানিতে শূন্য শতাংশ শুল্কারোপ পদ্ধতি কার্যকর রয়েছে।
পুরো কনটেন্টটি ডাউনলোড করতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন